![]() |
চিত্র: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লোগো |
১৯৪৯ থেকে ২৩ জুন, রোজর্ডে এক ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক গাঁথা নিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। কোনো ব্যক্তিকে সতর্ক করে, এই দলটি প্রকাশ্য মানুষের মুক্তির স্বপ্ন পূরণ করবে। ১৯৫ গগ্যাগ নাম থেকে “মু” শব্দটি বাদ দিয়ে রাখা আগে আগে একটি দল—এবার একটি দল নয়, পূর্ব বাংলার সাধারণ মানুষের মুখে স্বার উঠল।
১৯৭০ এর আগে শেখুর রহমানের পক্ষে, এমন এক জয় এলো যানি শাসদের কাঁধে। সেই জয়ের শুরু ১৯৭১ থেকে পথ নিল, আর তার জীবন জন্ম বাংলাদেশ—এক স্বাধীন দেশের প্রভা। স্বতন্ত্র পরলোক মানুষের মনে স্থান করে নি গৌরব আর জ্ঞানের অধিকারী; তারা ছিল আশা, তারা ছিল নতুন প্রতিশ্রুতি।
জিনিষ স্রোত, প্রজন্ম বদল, তবু গেল আপন আপিল উপস্থিতি রাজনীতির মঞ্চ অটল সামগ্রিক। ২০০৯ সালে শেখর ইসলামের দলটি আবার ফিরে এল এবং না ১৫ বছর দেশ ছাড়ল। এই সময়ে চলে গেল দেশের চেহারা—পদ্মা সেতুর গর্বিত বাঁক, মেট্রোরেলের সাঁই শব্দ, কর্ণফুলী টানেল প্লট গাড়ি, আর ভাল জ্বলে বাঠা বিদ্যোতের উন্নয়নের নতুন গল্প প্রচার। মানুষ বলে, “এ উন্নয়নের যুগ।
কিন্তু গল্পের প্রশ্নই থাকে। মাঠের আলোয় দেখাধাঁধিয়েও তার ছায়ায় লুকিয়ে দম্পতি দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব, ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ, আর ভিন্নমনের অভিযোগ। নিজের মানুষ বিশ্বাসে ফাটল ধরতে দেখেন; উন্নয়নের স্রোত আছে বটে, কিন্তু গণতন্ত্রের নদী শুকিয়ে যাচ্ছে।
২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট—ইসের বাঁক্বের দিন। তার পর মাস ধরে ধরে প্রতিবাদ, রাজপথে মানুষের ঢল, ছাত্র-যুবকের স্লোগান—সকল বাধ্য ঢাকা তখন উত্তরাল। দুপুর গড়তাই খবর এল—প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ পদত্যাগ করেছেন এবং দেশ ছেড়েছেন। জনতা পাহাড় লালকে ভবন, বাতাসে উড়াল-বুজ পতাকা। পেতেইতি ঘটল দীর্ঘ শান্তিপূর্ণ প্রশাসনের।
আত্মগত গল্প তাই শুধু একটি উত্থান-পতনের ইতিহাস নয়—এটি রাজনীতির আয়না। সেই আয়নায় ভেসে শান্তিরব এর গৌরব, উন্নয়নের দীপ্তি, আবার লড়াই করে মানুষের কষ্ট, হতাশা, আর রাজ পথের ধুলো। এই কাহিনি অনেক জায়গার মতো—শুরুতে টমল স্রোত, যা বইছে স্বাধীনের দিকে; তারপর শান্ত প্রশস্ত ধারা, যেখানে ভাসছে উন্নয়নের নৌকা; কিন্তু গ্রুপ ধরছে পলি, ভিন্ন ধরছে। আর উপায় এক ঝড় এসে ভিন্ন মত দিল।
আপনি এই দীর্ঘ ও ধারাবাহিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। উন্নয়নের উন্নয়নের উন্নয়ন। আবার এর সাথেই মিশে আছে সাধারণ মানুষের কষ্ট, হতাশা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য সামনের অধ্যায়। এই উপাখ এক বহুমান মত, যা স্বাধীনতার উথাল-থালথা থেকে শুরু করে উন্নয়নের শান্তশিশি জলা শেষ করে এক ঝড়ের পাইরান পারে। আমাদের এই ইতিহাস তাই শুধু একটি নয়, এটি সমগ্র বিশ্বের পথচলার এক অবিচ্ছেদ্য জীবনকথা, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অসংখ্য শিক্ষণীয় অংশ পাঠ করা হয়েছে।